বাঁকুড়া পুরুলিয়া জেলা ও ঝাড়খন্ড নামহট্ট মেলা ২০২৩
Sep 08, 2023
গত বছরের ন্যায় এই বছরও ০২/০৯/২০২৩ থেকে ০৪/০৯/২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ তথা ইসকন নামহট্ট কর্তৃক পরিচালিত পুরুলিয়া ,বাঁকুড়া জেলার ও ঝাড়খন্ড নামহট্ট মেলা উৎসব। ০৪/০৯/২০২৩ তারিখে ভক্তদের শুভ আগমন হয় এবং বৈকাল ৩:৩০ ঘটিকায় ভজন কীর্তন, জয়ধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মঙ্গলাচরণ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নামহট্টের চিফ রিজিওনাল ডাইরেক্টর তথা ত্রিদন্ডি সন্ন্যাসী ও অন্যতম গুরু শ্রী শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ, নামহট্টের অন্যতম কো-রিজিওনাল ডাইরেক্টর শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌরচন্দ্র স্বামী মহারাজ , নামহট্টের অন্যতম কো রিজিওনাল ডাইরেক্টর পূজ্যপাদ বিশ্বজিৎ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু , নামহট্টের অন্যতম কো রিজিওনাল ডাইরেক্টর পূজ্যপাদ সুমধুর গৌর দাস ব্রহ্মচারী প্রভু। এছাড়াও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পূজ্যপাদ বিশ্বজিৎ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর সুমধুর কণ্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হয়। এরপর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয় এবং শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ এইস্থানে উপস্থিত প্রায় ,২৮০০ ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন। মহারাজের পাঠ প্রদানের পর, শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌড়চন্দ্র স্বামী মহারাজ কিঞ্চিত হরিকথা পরিবেশন করেন এবং তৎপরে শ্রীল প্রভুপাদের অন্যতম শিষ্য পূজ্যপাদ জীবনাথ দাস প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরি কথা প্রবচন প্রদান করেন এবং প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় ও সমস্ত ভক্তরা মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতিতে যোগদান করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে এই স্থানে উপস্থিত ভক্তরা মহাজন বিরচিত ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। এরপর এই স্থানে পূজ্যপাদ কমলাপতি দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন। এরপরই স্থানে মহা হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে সমস্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে মঙ্গল আরতির পর সমস্ত ভক্তরা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে মহাপ্রভুর জন্মস্থান তথা মায়াপুর যোগপিঠের উদ্দেশ্যে গমন করেন। সেই স্থানে পূজ্যপাদ পদ্মনেত্র দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রভুর বাল্যলীলা বর্ণনা করেন । এরপর ভক্তরা নামহট্ট ভবনে আসেন, মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং TOVP দর্শনের উদ্দেশ্যে গমন করেন।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে অন্যতম সুদক্ষ গায়ক পূজ্যপাদ সদগতি হরিদাস প্রভু (সাধুচরণ দাস প্রভু) স্থানে ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। এরপর এই স্থানে পূজ্যপাদ পদ্মনেত্র দাস ব্রহ্মচারী প্রভু ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রবচন প্রদান করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর এই স্থানে ইস্কন নামহট্টের অন্যতম ত্রিদন্ডী সন্ন্যাসী শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌড়চন্দ্র স্বামী মহারাজ নামহট্ট সংঘাঠনিক সম্পর্কে প্রবচন প্রদান করেন। মহারাজের প্রবচন প্রদানের পর ভক্তদের বৈদিক উপহার প্রদান করা হয়।
পরদিন অর্থাৎ ১৮/০৮/২০২৩ তারিখে মঙ্গল আরতির পর পূজ্যপাদ শ্রীবাস চরণ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরিনাম জপের মাহাত্ম্য সম্পর্কে প্রবচন প্রদান করেন। এরপর পূজ্যপাদ পাণ্ডব হরিদাস ব্রহ্মচারী প্রভু ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। এরপর পূজ্যপাদ তারক কৃষ্ণনাম দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীমদ্ভাগবত থেকে হরি কথা প্রবচন প্রদান করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর ভক্তরা মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ এলাকাতে প্রচারের উদ্দেশ্যে গমন করেন।