বীরভূম,পাকুড় জেলা ও ঝাড়খন্ড নামহট্ট মেলা ২০২৩
Aug 13, 2023
১০/০৮/২০২৩ থেকে ১২/০৮/২০২৩ পর্যন্ত মহা আনন্দের সাথে অনুষ্ঠিত হল, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ তথা ইসকন নামহট্ট কর্তৃক পরিচালিত বীরভূম,পাকুড় জেলা ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের নামহট্ট মেলা উৎসব। ১০/০৮/২০২৩ তারিখে ভক্তদের শুভ আগমন হয় এবং বৈকাল ৩:৩০ ঘটিকায় ভজন কীর্তন, জয়ধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মঙ্গলাচরণ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নামহট্টের চিফ রিজিওনাল ডাইরেক্টর তথা ত্রিদন্ডি সন্ন্যাসী ও অন্যতম দীক্ষাগুরু শ্রী শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ, নামহট্টের অন্যতম কো-রিজিওনাল ডাইরেক্টর শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌরচন্দ্র স্বামী মহারাজ , পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নামহট্টের জেলা প্রচারক তথা পূজ্যপাদ ভাগবত কীর্তন দাস ব্রহ্মচারী প্রভু, এছাড়াও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পূজ্যপাদ ভাগবত কীর্তন দাস প্রভুর সুমধুর কণ্ঠে এবং কো-রিজিওনাল ডাইরেক্টর পূজ্যপাদ বিশ্বজিৎ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর কণ্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হয়। এরপর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয় এবং শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ এইস্থানে উপস্থিত প্রায় ১৮০০ ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন। মহারাজের পাঠ প্রদানের পর, পুজ্যপাদ প্রেমাঞ্জন দাস প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরি কথা প্রবচন প্রদান করেন এবং প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় ও সমস্ত ভক্তরা মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতিতে যোগদান করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পুজ্যপাদ বিশ্বজিৎ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাজন বিরচিত ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন এবং পাঠ প্রদান করেন। এরপর এই স্থানে প্রভুর পাঠ প্রদানের পর বৈদিক নৃত্য পরিবেশিত হয়। সবশেষে সমস্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে মঙ্গল আরতির পর সমস্ত ভক্তরা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে মহাপ্রভুর জন্মস্থান তথা মায়াপুর যোগপিঠের উদ্দেশ্যে গমন করেন। সেই স্থানে পূজ্যপাদ নাড়ুগোপাল দাস প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রভুর বাল্যলীলা বর্ণনা করেন এবং এই স্থানে বসে বসে কেবলমাত্র শ্রবণের মাধ্যমে নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমার সুফল লাভ করান। এরপর ভক্তরা নামহট্ট ভবনে আসেন, মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং TOVP দর্শনের উদ্দেশ্যে গমন করেন।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে এই স্থানের ভক্তরা ভজন কীর্তন গীতার শ্লোক আবৃত্তি বৈদিক নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর এই স্থানে শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌড়চন্দ্র স্বামী মহারাজ ভক্তদের উদ্দেশ্যে নামহট্ট সংঘাঠনিক সম্পর্কে প্রবচন প্রদান করেন। মহারাজের প্রবচন প্রদানের পর ভক্তদের বৈদিক উপহার প্রদান করা হয়।
পরদিন অর্থাৎ ১২/০৮/২০২৩ তারিখে মঙ্গল আরতির পর পূজ্যপাদ ভাগবত কীর্তন দাস ব্রহ্মচারী প্রভু তাঁর মধুর কণ্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। প্রভুর কীর্তনের পর এই স্থানে পূজ্যপাদ নিত্যানন্দ চৈতন্য দাস ব্রহ্মচারী প্রভু একটি কীর্তন পরিবেশন করেন তারপরে অন্যান্য ভক্তবৃন্দ কীর্তন পরিবেশন করেন। এরপর পূজ্যপাদ বিশ্বজিৎ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু কিঞ্চিৎ হরিকথা পরিবেশন করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর পুজ্যপাদ তারক কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর ভক্তরা মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ এলাকাতে প্রচারের উদ্দেশ্যে গমন করেন।