কোলকাতা জেলা নামহট্ট মেলা ২০২৩
Aug 08, 2023
গত বছরের ন্যায় এবছরও ২৯/০৭/২০২৩ থেকে ৩১/০৭/২০২৩ পর্যন্ত আবারও মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হল, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ তথা ইসকন নামহট্ট কর্তৃক পরিচালিত কলকাতা জেলা নামহট্ট মেলা উৎসব। ২৯/০৭/২০২৩ তারিখে বৈকাল ৩:৩০ ঘটিকায় ভজন কীর্তন, জয়ধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মঙ্গলাচরণ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নামহট্টের চিফ রিজিওনাল ডাইরেক্টর তথা ত্রিদন্ডি সন্ন্যাসী শ্রী শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ, নামহট্টের অন্যতম কো-রিজিওনাল ডাইরেক্টর পূজ্যপাদ পদ্মনেত্র দাস ব্রহ্মচারী প্রভু,কো-রিজিওনাল ডাইরেক্টর পুজ্যপাদ সুমধুর গৌর দাস,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নামহট্টের জেলা প্রচারক তথা পূজ্যপাদ ভাগবত কীর্তন দাস ব্রহ্মচারী প্রভু, পূজ্যপাদ নন্দ দুলাল হরিদাস ব্রহ্মচারী প্রভু, কলকাতা জেলার প্রচারক পূজ্যপাদ কৃষ্ণ পরমপুরুষ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু এছাড়াও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পূজ্যপাদ ভাগবত কীর্তন প্রভুর সুমধুর কণ্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হয়। এরপর শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ তাঁর অমৃত বাণী এইস্থানে উপস্থিত প্রায় ২১০০ ভক্তদের উদ্দেশ্যে বরিষণ করেন। মহারাজের পাঠ প্রদানের পর, পূজ্যপাদ পদ্মনেত্র দাস ব্রহ্মচারী প্রভু হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর প্রথম দিনের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় এবং সমস্ত ভক্তরা মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতিতে যোগদান করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পুজ্যপাদ সোনার চৈতন্য দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর সুমধুর কণ্ঠে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হয়। এরপর এই স্থানে পূজ্যপাদ কমলাপতি দাস ব্রহ্মচারী প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হরিকথা প্রদান করেন। প্রভুর পাঠ প্রদানের পর বৈদিক নৃত্য এবং মায়াপুর নামহট্টের ব্রহ্মচারী কর্তৃক আয়োজিত বৈদিক নাটক তথা সাক্ষী গোপাল পরিবেশিত হয়। সবশেষে সমস্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে পূজ্যপাদ সুমধুর প্রভুর জপ শিক্ষার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর পূজ্যপাদ প্রেমাঞ্জন প্রভু হরিকথা পরিবেশন করেন। প্রভুর হরিকথা প্রদানের পর এই স্থানের ভক্তরা মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং TOVP দর্শনের উদ্দেশ্যে গমন করেন।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে এই স্থানের ভক্তরা ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। এরপর শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌর চন্দ্র স্বামী মহারাজ তাঁর অমৃতময় বানী ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রদান করেন। এরপর ভক্তরা মন্দিরে দ্বীপদানের উদ্দেশ্যে গমন করেন।
এরপর পূজ্যপাদ সুমধুর গৌর প্রভু হরিকথা পরিবেশন করেন। প্রভুর পাঠের পর এই স্থানের ভক্তদের বৈদিক উপহার প্রদান করা হয়।
পরদিন মঙ্গল আরতির পর সমস্ত ভক্তরা মহাপ্রভুর জন্মস্থান তথা মায়াপুর যোগপিঠের উদ্দেশ্যে গমন করেন। সেই স্থানে শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজ উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রভুর বাল্য লীলা বর্ণনা করেন এবং এই স্থানে বসে বসে কেবলমাত্র শ্রবণের মাধ্যমে নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমার সুফল লাভ করেন। এরপর ভক্তরা মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ এলাকাতে প্রচারের উদ্দেশ্যে গমন করেন।